স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৯ জানুয়ারি ইজতেমা শুরু হলেও বুধবার ভোর থেকেই লাগাতার ২০ দলীয় জোটের অবরোধের ভীতি নিয়েও দলে দলে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অন্য বছরের তুলনায় এবার মুসল্লিদের উপস্থিতি কিছুটা কম হবে বলে ধারণা করছেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে ১১ জানুয়ারি দুপুরে অর্থাৎ জোহরের নামাজের আগেই যে কোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে।
মরণঘাতী ইবোলা ভাইরাস আক্রান্ত ৫টি দেশের (যথা : লাইবেরিয়া, গিনি, নাইজেরিয়া, মালি ও সিয়েরালিওন) নাগরিকদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও যে সব দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা রয়েছে সেসব দেশের নাগরিকদের ইজতেমায় অংশগ্রহণে বিশেষ সতর্কতা রয়েছে।
প্রথম দফায় খিত্তাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান : ইজতেমার প্রথম দফায় ঢাকার উত্তর থেকে দেশের উত্তরভাগ অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে ১নং খিত্তায় গাজীপুর-১, ২নং খিত্তায় গাজীপুর-২, ৩-১৩নং ঢাকা-৩ থেকে (ঢাকা-১, ২ বাদে) ১২, ১৪নং সিরাজগঞ্জ, ১৫নং নরসিংদী, ১৬নং ফরিদপুর, ১৭নং রাজবাড়ী, ১৮নং শরিয়তপুর, ১৯(১-২) কিশোরগঞ্জ, ২০নং নাটোর, ২১নং শেরপুর, ২২নং দিনাজপুর, ২৩নং হবিগঞ্জ, ২৪নং রংপুর, ২৫নং লালমনিরহাট, ২৬নং গাইবান্ধা, ২৭নং জয়পুরহাট, ২৮নং রাজশাহী, ২৯নং সিলেট, ৩০নং চাঁদপুর, ৩১নং ফেনী, ৩২নং চট্টগ্রাম, ৩৩নং বান্দারবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ৩৪নং বাগেরহাট, ৩৫নং নড়াইল, ৩৬নং চুয়াডাঙ্গা, ৩৭নং যশোর, ৩৮নং ভোলা, ৩৯নং বরগুনা ও ৪০নং খিত্তায় ঝালকাঠি জেলার মুসল্লিরা অবস্থান করবেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়দানের উত্তর দিক থেকে ক্রমানুসারে দক্ষিণ দিকে খিত্তার নম্বর বসানো হয়েছে।
যে সব দেশের মুসল্লিদের ইজতেমায় আসতে বিশেষ সতর্কতা : জঙ্গি তৎপরতার আশংকায় এবারের বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম বারের মতো মুসলিম বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশের নাগরিকদের ময়দানে আসা-যাওয়ার ভিসার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে। দেশগুলো হলো- পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, সুদান, সিরিয়া, জর্ডান, মিসর ও ইয়েমেন।
আইনশৃংখলা জোরদার : বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে আইনশৃংখলা জোরদার করা হয়েছে। পাঁচ সেক্টরে ভাগ করে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইজতেমায় যোগাযোগ ব্যবস্থা : রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ বছর ইজতেমার দুই পর্বেই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। বিআরটিসির পক্ষ থেকে প্রায় ৩০০টি বাস দেয়া হয়েছে। হযরত শাহাজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিদেশী মেহমানদের আনা- নেয়ার জন্য ৬টি এসি বাসও থাকবে।
চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম : টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালকে ইজতেমার জন্য অস্থায়ীভাবে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞসহ ৬০ থেকে ৭০ জন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
ইজতেমায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা : ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে গতবারের মতোই মোট ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে করে একটি গ্রিড অকেজো হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়।
পানি ও গ্যাস সরবরাহ : ইজতেমা আয়োজক তাবলিগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুতি ছাড়াও ওয়াসা, তিতাসসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থাগুলোও তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ময়দানে ১১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইজতেমা ময়দানের বিদেশী মেহমানখানায় ও ইজতেমা আয়োজকদের রান্না-বান্নার প্রয়োজনীয় স্থানে গ্যাস সংযোগের কাজ সম্পন্ন করেছে।
মিডিয়া সেন্টার : টঙ্গী-গাজীপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলস মাঠে মিডিয়া সেন্টার চালু করেছে। পাশাপাশি ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ : মন্নু নিউ ফাইন কটন মিলস মাঠে স্থাপিত ৪৪টি চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে। আজ সকালে এসব বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানকারী স্টলগুলো উদ্বোধন কববেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি। এছাড়াও গাজীপুর মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ইউনানী মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান মতিসহ রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অবরোধ আতংক ও ক্ষোভ : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের মধ্যে ২০ দলের ডাকা লাগাতার অবরোধের আতংক বিরাজ করছে। পথে পথে মুসল্লিদের তল্লাশির নামে পুলিশি হয়রানির কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইজতেমা কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য : ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছরই মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে নিজ নিজ খিত্তায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন। টঙ্গী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানান, টঙ্গীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই রোধসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ এবং এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান জানান, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তার ধুলাবালি রোধ করার জন্য প্রতিদিন পানি ছিটানো হবে। মশা নিধনের জন্য ২০টি ফগার মেশিন মশানাশক ওষুধ স্প্র্রে করা হবে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে ৭০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম জানান, ইজতেমা শুরুর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) থেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৌলতদিয়ায় ইজতেমা যাত্রীদের দুর্ভোগ : গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে বুধবার দৌলতদিয়া ঘাটে প্রায় আড়াই কিমি. যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকে আছে দুইশতাধিক যানবাহন। অবরোধের প্রথম দিন ঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বুধবার অবরোধ উপেক্ষা করে আসা ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফের ওরস ফেরত ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাগামী যানবাহনের চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারণ মুসল্লিরা দুর্ভোগের শিকার হন। জানা যায়, অবরোধের কারণে দুপুর পর্যন্ত ঘাট এলাকা একেবারেই ফাঁকা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে একযোগে যানবাহন আসতে থাকে। পাশাপাশি ফরিদপুরের চন্দপাড়া দরবার শরীফের বার্ষিক ওরস শেষেও একইভাবে যানবাহন আসতে থাকায় ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। এতে ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ক্যানেল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটারজুড়ে দুই সারিতে যানবাহন আটকা পড়তে থাকে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের নিয়মিত ১৫টি ফেরির মধ্যে দুটি বিকল ও একটি অন্যরুটে সরিয়ে নেয়ায় আটকে পড়া যানবাহনগুলো পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে। এতে মুুসল্লিরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
যে সব দেশের মুসল্লিদের ইজতেমায় আসতে বিশেষ সতর্কতা : জঙ্গি তৎপরতার আশংকায় এবারের বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম বারের মতো মুসলিম বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশের নাগরিকদের ময়দানে আসা-যাওয়ার ভিসার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে। দেশগুলো হলো- পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, সুদান, সিরিয়া, জর্ডান, মিসর ও ইয়েমেন।
আইনশৃংখলা জোরদার : বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে আইনশৃংখলা জোরদার করা হয়েছে। পাঁচ সেক্টরে ভাগ করে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইজতেমায় যোগাযোগ ব্যবস্থা : রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ বছর ইজতেমার দুই পর্বেই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। বিআরটিসির পক্ষ থেকে প্রায় ৩০০টি বাস দেয়া হয়েছে। হযরত শাহাজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিদেশী মেহমানদের আনা- নেয়ার জন্য ৬টি এসি বাসও থাকবে।
চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম : টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালকে ইজতেমার জন্য অস্থায়ীভাবে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞসহ ৬০ থেকে ৭০ জন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
ইজতেমায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা : ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে গতবারের মতোই মোট ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে করে একটি গ্রিড অকেজো হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত না হয়।
পানি ও গ্যাস সরবরাহ : ইজতেমা আয়োজক তাবলিগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুতি ছাড়াও ওয়াসা, তিতাসসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থাগুলোও তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ময়দানে ১১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইজতেমা ময়দানের বিদেশী মেহমানখানায় ও ইজতেমা আয়োজকদের রান্না-বান্নার প্রয়োজনীয় স্থানে গ্যাস সংযোগের কাজ সম্পন্ন করেছে।
মিডিয়া সেন্টার : টঙ্গী-গাজীপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলস মাঠে মিডিয়া সেন্টার চালু করেছে। পাশাপাশি ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ : মন্নু নিউ ফাইন কটন মিলস মাঠে স্থাপিত ৪৪টি চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে। আজ সকালে এসব বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানকারী স্টলগুলো উদ্বোধন কববেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি। এছাড়াও গাজীপুর মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ইউনানী মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান মতিসহ রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অবরোধ আতংক ও ক্ষোভ : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের মধ্যে ২০ দলের ডাকা লাগাতার অবরোধের আতংক বিরাজ করছে। পথে পথে মুসল্লিদের তল্লাশির নামে পুলিশি হয়রানির কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইজতেমা কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য : ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছরই মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে নিজ নিজ খিত্তায় এসে অবস্থান নিচ্ছেন। টঙ্গী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানান, টঙ্গীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই রোধসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ এবং এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান জানান, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তার ধুলাবালি রোধ করার জন্য প্রতিদিন পানি ছিটানো হবে। মশা নিধনের জন্য ২০টি ফগার মেশিন মশানাশক ওষুধ স্প্র্রে করা হবে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে ৭০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম জানান, ইজতেমা শুরুর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) থেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৌলতদিয়ায় ইজতেমা যাত্রীদের দুর্ভোগ : গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে বুধবার দৌলতদিয়া ঘাটে প্রায় আড়াই কিমি. যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকে আছে দুইশতাধিক যানবাহন। অবরোধের প্রথম দিন ঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বুধবার অবরোধ উপেক্ষা করে আসা ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফের ওরস ফেরত ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাগামী যানবাহনের চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারণ মুসল্লিরা দুর্ভোগের শিকার হন। জানা যায়, অবরোধের কারণে দুপুর পর্যন্ত ঘাট এলাকা একেবারেই ফাঁকা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে একযোগে যানবাহন আসতে থাকে। পাশাপাশি ফরিদপুরের চন্দপাড়া দরবার শরীফের বার্ষিক ওরস শেষেও একইভাবে যানবাহন আসতে থাকায় ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। এতে ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ক্যানেল ঘাট ছাড়িয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটারজুড়ে দুই সারিতে যানবাহন আটকা পড়তে থাকে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের নিয়মিত ১৫টি ফেরির মধ্যে দুটি বিকল ও একটি অন্যরুটে সরিয়ে নেয়ায় আটকে পড়া যানবাহনগুলো পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে। এতে মুুসল্লিরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।