এম.এ কবির/গাজীপুর অনলাইনঃ বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুনে পুড়ে চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মহিষবাথান বটতলা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন (১৭) সিলেটের নাপরায়নতলা গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো দিনভর বাস চালানো শেষে রাতে চালক সেলিম মিয়া তার বাসার পাশে মহাসড়কে বাসটি থামিয়ে রেখে যান। তার সহকারী তোফাজ্জল দরজা আটকে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকাবাসী বাসটি জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভানোর পর বাসের দরজার কাছে তোফাজ্জলের লাশ দেখতে পান।
ধারণা করা হচ্ছে আগুন লাগার পর তোফাজ্জল বাস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাসের ভেতরটা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় দরজা খুলতে না পেরে সেখানেই পুড়ে মারা গেছেন তিনি।
চালক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার সেলিম মিয়া জানান, চার বা পাঁচ বছর বয়স থেকে তোফাজ্জল তার সঙ্গে কাজ করতেন। মহিষবাথান এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। রাত আড়াইটার দিকে বটতলা এলাকায় বাসটি পার্কিং করে বাসায় চলে যান। বাসের মালিক খন্দকার মফিজুর রহমান কালিয়াকৈর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি। আগের দিন একটি সমাবেশে হরতাল ও নাশকতাবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার জেরে তার বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
বাসটি বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হত।