মো: পলাশ প্রধান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ময়দান থেকে: বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে অবরোধ, অপরদিকে অবরোধের নেপথ্যে নাশকতার ঘটনা ঘটানোর তথ্য ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। তবে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে বলেও তথ্য রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ইজতেমাসহ রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বরাবরই জামায়াত-শিবির এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইজতেমা বিরোধী। এবার তারা ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবে। ইজতেমায় মুসল্লি সেজে তারা নাশকতা করারও প্রস্তুতি নিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাত শেষে রাজধানীতে প্রবেশের সময় মুসল্লী সেজে জামায়াত-শিবির, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের সামনে কিংবা রাজধানীর যেকোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসে পড়বে।
ইতিপূর্বে নাশকতার বিষয়টি সামনে রেখে বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ৬৫টি পয়েন্টে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, র্যাব ও পুলিশের ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার।
গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকছে প্রতিটি খিত্তা। নাশকতা মনিটরিং তথ্য সংগ্রহে মুসল্লিবেশে থাকবে গোয়েন্দা সদস্যরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি থাকছে।
এবিষয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, ১০ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য ইজতেমার নিরাপত্তায় মোতায়েন করা রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার, মোবাইল ও গোয়েন্দা ব্যবস্থা থাকছে। তিনি আরো বলেন, নাশকতার তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার তা করা হয়েছে।
র্যাবের ২ সহস্রাধিক সদস্য ইজতেমায় মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও, গোয়েন্দা কার্যক্রমে থাকছে সহস্রাধিক র্যাব সদস্য। আকাশপথে হেলিকপ্টারযোগে র্যাবের টহল রয়েছে। কোন নাশকতা ঘটলে হতাহতদের নেয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাই একটি হেলিকপ্টার থাকবে। রয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার।
এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, নাশকতার তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে ইজতেমার নিরাপত্তায় যা যা দরকার তার সবকিছু করা হয়েছে।