স্টাফ রিপোর্টারঃ অবশেষে সমঝোতায় এলেন ‘উতলা মন’ চলচ্চিত্রের নায়িকা কাজী রোমানা ইসলাম নীড় এবং প্রযোজক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। সম্প্রতি রমনা থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, বুধবারের মধ্যে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডি, মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।
এই চুক্তিপত্রে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ যদি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং মামলা প্রত্যাহার করে না নেন, তবে অন্যপক্ষ তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
অঙ্গীকারনামার বিষয়ে চিত্রনায়িকা নীড় বলেন, “প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরই নমনীয় হয়ে আসেন প্রযোজক আব্দুল আওয়াল ও তার সহযোগীরা। এর আগে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিলেও মামলা করার পরই সুর পাল্টে ফেলেন তারা। তারা অনুতপ্ত হয়েছেন এবং আমাকে অনুরোধ করেছেন মামলা তুলে নিতে। তারা এমনও কথা দিয়েছে যে তারা আমার সব শর্ত মেনে নেবে। তারা নিশ্চিত করেছে আমিই থাকছি ‘উতলা মন’ এর প্রধান নায়িকা।”
প্রযোজক আব্দুল আওয়াল বলেছেন, “নায়িকা নীড়ের মামলার পর আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। পরিবারেও বেশ অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমি নিরুপায় হয়েই সমঝোতায় আসতে রাজি হয়েছি।”
আওয়াল আরও বলেন, “নীড়কে মামলা না করার জন্য বারবার অনুরোধ করার পরও নীড় মামলা ঠুকে দিয়েছে। এতে আমাকে পুলিশী বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। আমার ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।”
এর আগে ‘উতলা মন’ সিনেমার সেটে ‘অনৈতিক প্রস্তাব’, ‘হুমকি’ এবং সিনেমার পোস্টারে বানোয়াট ছবি ব্যবহারের অভিযোগে আওয়াল চলচ্চিত্রের কর্ণধার আব্দুল আওয়ালের বিরুদ্ধে রমনা থানায় জিডি করেন নায়িকা নীড়। জিডি দায়েরের পর ‘ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে’ এমন অভিযোগে ঢাকার দায়রা জজ আদালতে মামলা ঠুকে দেন নীড়।
প্রযোজক আব্দুল আওয়ালও নীড়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি নীড়ের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা’র অভিযোগ এনে নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, নীড় আওয়াল চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও ব্যবস্থাপকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় অপপ্রচারের মাধ্যমে সম্মানহানি ঘটিয়েছেন।
এদিকে এখন সমঝোতায় এলেও, এফডিসিতে সিনেমাটির আইটেম গানের শুটিং চলাকালে প্রযোজক আওয়াল গ্লিটজকে বলেছিলেন, “নীড় নন, মনিকাই এই সিনেমার প্রধান নায়িকা। তবে নীড় অভিনীত সবগুলো দৃশ্যই সিনেমায় থাকবে।”
নীড়ও বলেছিলেন, সিনেমা থেকে তার অভিনীত সবগুলো দৃশ্য যদি কেটে ফেলা হয় তাতে তার কোনো ‘আফসোস’ থাকবে না।
সিনেমার পরিচালক আনোয়ার সিরাজী জানিয়েছেন, সিনেমার শুটিং প্রায় শেষ হয়েছে। সম্পাদনার কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সিনেমাটি সেন্সরে জমা পড়বে।