গাজীপুর অনলাইনঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ত্রিমোহনী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী দু’ট্রলারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ওই দূর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়। তাদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ এক নারী ও ৮মাসের শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার হলেও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয়রা তিন ঘন্টা চেষ্টার পর ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করেন। তবে দু’জনের লাশ উদ্ধার হলেও ডুবে যাওয়া ট্রলারের অন্যান্য যাত্রীদের ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। শত শত এলাকাবাসী সেখানে ভিড় জমিয়েছেন।
স্থানীয় কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন মীর ওরফে দাদন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ত্রিমোহনীর নান্দিয়া সাঙ্গুন এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষা নদীর মোহনায় শ্রীপুর উপজেলার বরমী থেকে ত্রিমোহনীগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রলারের সাথে পাতলাশী এলাকা থেকে বর্মীগামী অপর একটি যাত্রীবাহী ট্রালারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাতলাশী থেকে বর্মীগামী ট্রলারটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে শীতলক্ষা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। তাদের মধ্যে অনেকেই নদীর পাড়ে উঠতে সমর্থ হলেও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
এলাকাবাসী, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলেও ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের পর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের কোন সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাই। ফলে এলাকাবাসীই নিখোঁজদের উদ্ধরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কাওরাইদ এলাকার আশরাফ উদ্দিন শেখের ৮মাসের শিশু কণ্যা সাদিকুন্নাহার এবং ময়মনসিংহের নবগঠিত পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সুতার তাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী আসমা বেগমের (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
সাদিকুন্নাহরের মা সুরাইয়া বেগম (২৮) প্রাণে বেঁচে গেলেও তার নানী মজিদা বেগমসহ (৪৫) আরো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তারা তিনজনে সাদিকুন্নাহারকে ওই ট্রলারে বরমী বাজারে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শত শত এলাকাবাসী সেখানে ভিড় জমিয়েছেন।