ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা যতদিন পর্যন্ত বিচারাধীন থাকবে ততদিন কোনো বক্তব্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালত তথ্য সচিবকে এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছে। পাশাপাশি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, আইন ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) মোট ১১ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তারেক রহমানের পাসপোর্টের সময়সীমা আছে কিনা তা আগামী এক মাসের মধ্যে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশি টিভি, সংবাদপত্র, অনলাইন পত্রিকাসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ না করার নির্দেশনা চেয়ে নাসরিন সিদ্দিকী লিনা নামের এক আইনজীবী এ রিট করেন। রিটে পলাতক আসামিদের বক্তব্যও প্রচার না করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বলা হয়, ফেরারি তারেক রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা অপরাধমূলক কথা বলছেন। যা দণ্ডবিধি অনুসারেও অপরাধ। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছেন। এছাড়াও তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি শান্তিভঙ্গ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিটকারী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা সাংবাদিকদের বলেন, “একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এ রিটটি দায়ের করেছি।“
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাহারা খাতুন, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, সানজীদা খানম, শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।