ডেস্ক রিপোর্টঃ মাথাপিছু আয়ের হিসাবে নতুন অর্থবছরে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের (জিএনআই) ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবছর ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক এ মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন অনুযায়ী, কোনো দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৪৫ ডলারে উন্নীত হলেই সেই দেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের স্তরে অবস্থান করে। আর বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩০০ ডলারের বেশি। এ কারণেই নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কোটায় উন্নীত করেছে বিশ্বব্যাংক।
কোনো দেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে অনুর্ধ্ব ৪ হাজার ১২৫ ডলার হলে সেটা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ৪ হাজার ১২৫ ডলার থেকে অনুর্ধ্ব ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার হলে তখন ওই দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ বলা যাবে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশসহ চারটি দেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। অন্য দেশগুলো হচ্ছে- মিয়ানমার, কেনিয়া ও তাজিকিস্তান। নতুন এ চারটি দেশসহ বর্তমানে বিশ্বে মধ্যম আয়ের দেশের সংখ্যা মোট ৫১টি।
বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো দেশের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার হলে তাকে উচ্চ আয়ের দেশ ধরা হয়। এ বছর আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, ভেনেজুয়েলা ও সেচেলেস উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। সবচেয়ে নিম্ন মাথাপিছু জাতীয় আয়ের দেশ হচ্ছে মালায়ি ও সর্বোচ্চ মাথাপিছু জাতীয় আয়ধারী দেশ হচ্ছে মোনাকো।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক ভূগলের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৯৪ সালে যেখানে বিশ্বের ৬৪টি নিম্ন-আয়ের দেশে ৩১০ কোটি মানুষ (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ) বাস করতো ২০১৪ সালে সেটি ৩১টি দেশে ৬১ কোটি ৩০ লাখ লোকের (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ) মধ্যে নেমে এসেছে।