গাজীপুর অনলাইনঃ একের পর এক খুন আর অপহরণের আতঙ্ক কাটছে না, রাজধানীর পাশের জেলা গাজীপুরে। সবশেষ যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম খুনের ঘটনা, উদ্বেগ বাড়িয়েছে জনমনে।
প্রশাসনের দাবি, খুনিরা চিহ্নিত। তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। আর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, যারা এ সব ঘটনায় কলকাঠি নাড়ছে, তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
দিন দিন অবনতির দিকে গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একের পর এক খুনের ঘটনায়, আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
গেলো তিন সপ্তাহে গাজীপুরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ১০টি। এছাড়া কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেছে আরো দুজনের।
চলতি বছরের ১১ আগস্ট কালিয়াকৈর, টঙ্গী ও গাজীপুর সদরে খুন হয়েছেন চার জন; ৬ ও ২০ আগস্ট কাপাসিয়া ও জয়দেবপুরে গণপিটুনিতে প্রাণ গেছে দুজনের; ৯ ও ১৪ আগস্ট টঙ্গীতে হত্যা করা হয় দুই পোশাক শ্রমিককে। আর সবশেষে ২১ আগস্ট চন্দ্রায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম।
রফিকের পরিবারের দাবি, দলীয় কোন্দলের কারণেই প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।
অল্প সময়ের ব্যবধানে এসব খুনের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের। দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পেলে, সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন তারা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলছেন, খুনিদের ধরতে এরই মধ্যে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে সব ঘটনার পর শুধু এমন প্রতিশ্রুতি নয়; কথার বাস্তবায়ন চান গাজীপুরের মানুষ।