গাজীপুর অনলাইন: কালীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহদত বাষির্কী উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনা বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। ’৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর এদেশ খাদের কিনারায় ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখান থেকে বাংলার মানুষকে তুলে এনে বাঙ্গালী জাতির ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করে গেছেন। আর সেই মহান নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা! বিশ্বে আর কোথাও এমন কলঙ্কিত ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর মতো একজন দেশ প্রেমিক ও গণতন্ত্রের মানুষকে হারিয়েছি। ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আজও আমরা ওই কলঙ্কের দায়ভার মাথায় নিয়ে ঘুরছি।
শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত শোক র্যালী শেষে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে নারী উন্নয়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির গলা চেপে ধরেছিল। জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার কারণে আজও বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তখন থেকে পেছনের দিকে চলছিল। হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সারাদেশ। সেখান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ তার সঠিক নেতৃত্ব ও পরিচয় পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে নারী উন্নয়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির গলা চেপে ধরেছিল। জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার কারণে আজও বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তখন থেকে পেছনের দিকে চলছিল। হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল সারাদেশ। সেখান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ তার সঠিক নেতৃত্ব ও পরিচয় পেয়েছে।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমেদুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ- আলম দেওয়ানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এস,এম নজরুরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ ও যুগ্ম সম্পাদক এবিএম তারিকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন দেওয়ান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ টিপু, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. বাদল হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজা সম্পাদক সাদ্দামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অন্যদিকে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম মোজাদ্দেদীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা এএইচএম কাউছার আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক বঙ্গবন্ধুর সহচর কেবিএম মফিজুর রহমান খান, মাদ্রাসার সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট আলহাজ্ব মাওলানা মো. আবদুছ ছাত্তার মোজাদ্দেদী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইউনুছ আলী ও জাহাঙ্গীর আহম্মেদ রঞ্জু প্রমূখ।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।