গাজীপুর অনলাইনঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ খায়রুল আলম (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলামের নামে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার জম জম স্পিনিং মিলস কারখানায় ঝুট মালামাল বের করা হয়। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা করেন কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আতাউর রহমান। অপরদিকে পৌরছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক খসরুল আলম ও তার ভাই বিএনপির কর্মী খায়রুল আলমকে তাদের লোকজন নিয়ে জম জম স্পিনিং কারখানায় ঝুট বের করার প্রস্তুতি নেয়। বুধবার ওই কারখানা থেকে ঝুটের মাল বের হচ্ছে এমন সংবাদের ভিওিতে খসরুল তার ভাই খায়রুল ও তাদের লোকজন নিয়ে ওই কারখানায় সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় খসরুল ঝুট বের করতে না পেরে রামদা, হকিষ্ট্রিক, কাঠের বাটাম, লোহার রড ও ছোড়া নিয়ে আতাউর রহমানের অফিসে হামলা চালায়। খসরুল গ্রুপের ২০-২৫ জন লোক আতাউরের অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। হামলায় দুটি মোটরসাইকেলসহ বাড়ির মূল ফটক, আমিনুল ইসলামের কনফেকশনারী ও শাজাহানের চায়ের দোকানপাট ভাংচুর করে। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় আশেপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় উপজেলার বোর্ড মিল এলাকার সিরাজ পাটোয়ারির ছেলে সুমন পাটোয়ারি (৩২), একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে শামসুল হক (২৬) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে জনি (২৬) এবং সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার শংকর (২৫) আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খায়রুল আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আতাউর রহমান জানান, খসরুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে চার জন আহত হয়। পরে খসরুল ও তার লোকজন তাকে মারার জন্য খুজে না পেয়ে আমার অফিসে ঢুকে ক্যাশে থাকা নগদ ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক খসরুল আলম জানান, আমি বাঁধা দিতে গিয়েছিলাম এটা সত্য। কিন্তু সেখান থেকে চলে আসার পর আতাউর তার লোকজন দিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে তাদের ফাসাতে চাইছে। তাছাড়া আমার ভাই খায়রুল আলম চন্দ্রা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে। কারখানায় যাওয়ার পথে চক্রান্ত করে আতাউরের লোকজন তার ভাইকে পুলিশ ধরিয়ে দেয়।
এঘটনায় আতউর রহমান বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া একজনকে আটক করা হয়েছে।