গাজীপুর অনলাইন/ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে পরামর্শ না করেই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত বিধি স্মরণ করিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে । ভোটের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া হারুন অর রশীদকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করার আদেশ ‘সঠিক না হওয়ায়’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গত বৃহস্পতিবার আইন অনুসরণে এ চিঠি দেয় ইসি।
শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর ইউপি নির্বাচনবিধির ৮৯ ধারার ‘কতিপয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি’ সংক্রান্ত ধারা উল্লেখ করে চিঠি পাঠান ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম।
তৃতীয় ধাপের ভোটের আগে গত ২১ এপ্রিল সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারে ইসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়। তা কার্যকর হলেও এর ১৩ দিনের মাথায় ইসির অনুমোদন ছাড়াই ওই কর্মকর্তাকে ফের পুনর্বহাল করে আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।
ইসি সচিব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এসপির পুনর্বহাল সংক্রান্ত আদেশ আমাদের কাছে এসেছে। সব কিছু পর্যালোচনা করে ভোটের সময়ে পুলিশ সুপার পর্যায়ের বদলি-সংক্রান্ত বিধানটি স্মরণ করিয়ে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, গত ২১ এপ্রিলের একটি স্মারকমূলে এসপি হারুণকে গাজীপুর জেলা থেকে প্রত্যাহার পূর্বক পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্তকরণের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। সেই ইউপি নির্বাচন বিধি অনুযায়ী গাজীপুরের ভোটের পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ কার্যকর করা হবে।
কিন্তু আগামী ৪ জুন পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় বিভিন্ন ইউপিতে ভোট রয়েছে। এমন সময়ে পুলিশ কর্মকর্তার পুনর্বহাল আদেশ হওয়ায় বিপাকে পড়ে ইসি। তবে ইসির নতুন নির্দেশনার পর অন্তত ১৯ জুনের আগে এসপি হারুন গাজীপুরে ফিরতে পারবেন না বলে জানান ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ৮৯ ধারায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পরবর্তী ১৫ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ কিছু কর্মকর্তাকে ইসির সঙ্গে পরামর্শ করা ছাড়া বদলি করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ ইতিমধ্যে জানান, পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হলেও তাকে ভোটের মাঝপথে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়ে থাকতে পারে।