গাজীপুর অনলাইন/ডেস্ক: অনলাইনে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক কনটেন্ট সনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইন্সটাগ্রাম, লিংক্ডইনসহ ব্লগ ও ওয়েব পোর্টালগুলোতে শুরু হচ্ছে কঠোর নজরদারি। আর এই নজরদারি শুরু করতে বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এলিটফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ২০ সদস্যকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি স্ন্যাপ ট্রেন্ডস নামক প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় স্থাপন করা হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং প্রযুক্তি বা এসএমএমএস। এছাড়াও ইন্টারনেট গেটওয়েতেও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, এসএমএমএস প্রযুক্তিটি সচল করতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১০ কোটি টাকা। এই প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের আইন পরিপন্থি কোনো স্ট্যাটাস বা লেখা প্রকাশ করা মাত্রই তার একটি স্ক্রিনশট পৌঁছে যাবে র্যাব কমান্ড সেন্টারে। ফেসবুকে দেয়া কমেন্ট এবং লাইকের তথ্যও থাকবে এতে। কোথা থেকে বা কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কমেন্ট করা হয়েছে তারও প্রামাণ্য দলীল সংরক্ষণ করা হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পোস্টদাতাকেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ভার্চুয়াল লেন্স এর মাধ্যমে জিওফেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।সম্প্রতি পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ এবং এরপর সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু'র দেয়া বক্তব্যে অনলাইন নজরদারির এই ইঙ্গিত এখন বাস্তবায়নের পথে।