গাজীপুর অনলাইন: গাজীপুরের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১১ আসামির খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, আগামীকাল অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে এ আপিলের শুনানি হতে পারে। বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া ওই ১১ আসামি হলেন- আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির।
গত ১৫ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ অন্য ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া জীবিত ২৬ আসামির মধ্যে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ৬ জন হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু (পলাতক), মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ এবং সোহাগ ওরফে সরু।
মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন : মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর (পিতা আবুল কাশেম), রতন মিয়া ওরফে বড় রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম ও সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, মশিউর রহমান মশু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস : আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর পিতা নূর হোসেন, ফয়সাল, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির,
খোকন ও দুলাল মিয়া। মৃত্যু : ছোট রতন ও আল আমিন মারা যাওয়ায় নিস্পত্তি। যাবজ্জীবন বহাল : নুরুল আমিন।
যাবজ্জীবন থেকে খালাস : রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আপিল করেননি : ওহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক) আদেশ দেননি।
এর আগে ২০০৫ সালে এই মামলায় ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২ জনকে খালাস দিয়েছিলেন গাজীপুরের বিচারিক আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ২৮ জনের মধ্যে ২ জন মারা যাওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি করে ২৬ জনের বিষয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।