গাজীপুর অনলাইন: নভেম্বর মাসে নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অন্য অপারেটরের সুবিধা নেয়ার জন্য মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সার্ভিস পাবে গ্রাহকরা। বিটিআরসি’র জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ২১ সেপ্টেম্বর নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নিলামে জয়ী প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত ফি দেয়ার জন্য ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে যে কোন সময় ফি দিয়ে তারা কাজ শুরু করতে পারবে। সুতরাং নভেম্বর মাসের মধ্যেই এ সুবিধা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এমএনপি’র মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। গুণগত সেবা নিশ্চিত করার অন্যতম একটি পদক্ষেপ এ সার্ভিস। গ্রাহকরা সুবিধা মতো নিজেদের সেবা নিতে পারবে এ সেবায়। যে অপারেটর ভালো সার্ভিস দেবে গ্রাহক তাদের সেবা নেবে।’
লাইসেন্স গ্রহণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘নিলামের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১৬ জুন এবং শেষ হবে ৩০ জুন। নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। তবে কোন মোবাইল অপারেটর এ নিলামে অংশ নিতে পারবে না।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রাহকরা ৩০ টাকা চার্জ দিয়ে অপারেটর বদল করতে পারবেন। এক অপারেটর পরিবর্তনের ৯০ দিনের মধ্যে অন্য অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না। বিটিআরসি থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ১৫ বছর। আর আবেদন ফি ১ লাখ টাকা ও বার্ষিক লাইসেন্স ফি দিতে হবে ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ দিতে হবে ১ কোটি টাকা। আর লাইসেন্স প্রাপ্তির ১৮০ দিনের মধ্যে এক শতাংশ ও এক বছরে ৫ শতাংশ এবং পাঁচ বছরে ১০ শতাংশ গ্রাহককে সেবা দিতে হবে। অন্যথায় তাদের ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নসহ লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
কোন বিদেশী বিনিয়োগকারী এককভাবে এমএনপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না উল্লেখ করে শাহজাহান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী ও বিদেশী বিনিয়োগকারী যৌথভাবে এ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মূলধনের অনুপাত ৫১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা ও নূন্যতম এক কোটি গ্রাহককে সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।