গাজীপুর অনলাইন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদসহ যে কোনো ধরনের অরাজকতা রোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য এমএ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল উদ্ধারে পুলিশ নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল প্রকার নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ইউনিটসমূহে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ওয়ান স্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেস্ক, মহিলা ও শিশু ডেস্ক স্থাপন, থানাগুলোতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠান এবং কমিউনিটি পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োজিত করাসহ জনবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত মামলার রহস্য উদঘাটনে সফলতার পরিচয় দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী হামলা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ রুজুকৃত মামলাসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ার কার্যক্রম গৃহীত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটন এলাকায় ভ্রমণকারী বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা, দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ও অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি ও গোয়েন্দা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে। ফলে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিকভাবে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা তাদের জীবন-যাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে।