
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সক্রিয় হয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ধর-পাকড়ও শুরু করেছে। এরই মধ্যে সেখানে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি, যিনি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মোহাম্মদ সাঈদ সপরিবারে নিউইয়র্কের এলমহার্স্টে বসবাস করছেন। সিটির ফ্লাশিং এলাকা থেকে গত ২৪ মে সাঈদকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করে নিউজার্সির হাডসন কাউন্টি কারাগারে নিয়ে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বেআইনীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার অভিযোগ এনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) সাঈদকে গ্রেফতার করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবৈধ অভিভাসন বিরোধী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এ ধরনের গ্রেফতার অভিযান চলছে। সাঈদ গ্রেফতার হওয়ার পর নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি অন্যান্য সাংবাদিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেও যারা অভিবাসীর মর্যাদা অর্জন করতে পারেন নি, তাদের মধ্যেই এই আতঙ্ক বেশি বলে জানা গেছে। যার মধ্যে আরও অন্তত ২০ জন রয়েছেন যারা পত্রিকার প্রকাশ, সম্পাদনা ও সাংবাদিকতায় যুক্ত রয়েছেন।
অভিবাসন আইন লঙ্ঘণকারীদের রেহাই দেওয়া হবে না, এমন শক্ত অবস্থানে থেকেই আইস তার অভিযান শুরু করেছে। কেবল যে বাংলাদেশি কমিউনিটি, তাই নয় অন্যন্য কমিউনিটিতেও চলছে ধর-পাকড়। ৩০ মে পর্যন্ত নিউইয়র্কেই ৮৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
তবে এমন অভিযান চলছে গোটা দেশ জু্ড়েই। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়েছে বলেও তথ্য রয়েছে।
কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোরসমেন্ট-আইস। নিউইয়র্ক, নিউজার্সিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে তারা গ্রেফতার অভিযান জোরদার করেছে। আইস ইতোমধ্যে ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের ধরতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় আইস। এতে কয়েকজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে কমিউনিটিতে আতংক বিরাজ করছে।