
গাজীপুর সদরের সালনার মোল্লাপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন-ময়মনসিংহের ফুলপুরের মো. সেলিম (২৭), তিনি স্থানীয় টিএম ফ্যাশন কারখানায় লোডার পদে চাকরি করতেন। নিহত অপরজনের আনুমানিক বয়স ২৫ বছর, তার পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে কভার্ডভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং কারখানার প্যাকিংম্যান আরমানের (২৬) নাম জানা গেছে। আরমান গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাইফুল ও অজ্ঞাত পরিচয় (২৭) একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ট্রেনটি সেখানে আটকে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন সরিয়ে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান মিয়া জানান।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. রকিবুল হক জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পোশাকভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ২ জন নিহত হন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান মিয়া জানান, রাত ৯টা ২০ মিনিটে জয়দেবপুর থেকে চিত্রা ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর ১০ মিনিট পর সালনা এলাকায় কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর জয়দেবপুর জংশনে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, মৌচাক স্টেশনে রাজশাহীর পদ্মা এক্সপ্রেসসহ আশেপাশের স্টেশনগুলোতে কয়েকটি ট্রেন আটকে ছিল।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ জানান, ট্রেন-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।