
কক্সবাজার সমুদ্রে সৈকতে গা ভাসাতে নারীদের জন্য ১০০ মিটার দীর্ঘ সংরক্ষিত সুইমিং জোন করা হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি নারী উত্যক্তের ঘটনার পর এ উদ্যোগ নেয়া হল। ফলে সৈকতে ঘুরতে যাওয়া নারীরা স্বস্তিতে সমুদ্র স্নান করতে পারবেন বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
ইভটিজিংরোধে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত বৃহস্পতিবার ট্যুরিজম ও প্রটোকল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন সাইফুল আশরাফ জয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের পরামর্শ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ জোনটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নেমে ডান পাশে হোটেল সিগাল বরাবর করা সুরক্ষা জোনের দুই দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দু’টি প্ল্যাকার্ড ঝোলানো হয়েছে। ওই প্ল্যাকার্ডে জেলা প্রশাসনের একটি হেল্পলাইন নম্বরও (০১৭৩৩-৩৭৩১২৭) যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কোনো নারী হয়রানি বা শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হলে বিচ কর্মীরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়াও সমুদ্র স্নানে যাওয়া কোনো নারী বিপদাপন্ন হলে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যাবেন লাইফ গার্ড সদস্যরা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সমুদ্র স্নানে যাওয়া নারীরা এ হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা ও অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন সাইফুল আশরাফ জয় বলেন, “পুরো সৈকত নারীদের জন্য উন্মুক্ত। তবে চাইলে নারীরা সংরক্ষিত এ ১০০ মিটার এলাকায় গোসল করতে পারবেন, সাঁতারও কাটতে পারবেন। নারীদের সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কাজ করছেন নিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা।”
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি গিয়াস উদ্দীন বলেন, “নারীদের জন্য সংরক্ষিত জোন করায় সমুদ্র স্নানে যাওয়া পর্যটক নারীরা স্বস্তি পাবেন। তাদের সামগ্রিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সহজ হবে।”
কক্সবাজারের পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে এ উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, “বিশ্ব দরবারে কক্সবাজারকে তুলে ধরতে জেলা প্রশাসনের অনেকগুলো উদ্যোগ রয়েছে। এরমধ্যে একটি ছিলো নারীদের জন্য আলাদা সুইমিং জোন।”