
গাজীপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ কর্মী সভা থেকে পুলিশ ধাওয়া করে ১৫ জনকে আটক করেছে। রোববার দুপুরে জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়বীথি এলাকার ট্রাস্ট কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিললের সভাপতিত্বে বেলা ১১টার দিকে ট্রাস্ট কমিউনিটি সেন্টারে গাজীপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ কর্মী সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক। সভায় প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শিল্পপতি মো. সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. হান্নান মিয়া হান্নু প্রমুখ।
তারা আরও জানান, সভা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই সভাস্থলটি ঘিরে ফেলে। পরে সভা শেষে কমিউনিটি সেন্টার থেকে নেতাকর্মীরা বের হওয়ার সময় ছায়াবীথি সড়ক সংলগ্ন কমিউিনিটি সেন্টারের গেটে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিচার্জ ও ধাওয়া দিয়ে বিএনপির ১৫ কর্মীকে আটক করে। এ সময় নেতাকর্মীরা দ্বিগবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে এবং এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম জানান, আজকের কর্মী সভাটি ছিল জেলা বিএনপির ঘরোয়া একটি কর্মসূচি। অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে রাখে। শান্তিপূর্ণ সভা শেষে বের হওয়ার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় এবং অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ জানান, অননুমোদিত সভায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে।