
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি অনলাইন পোর্টালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য গত ১৭ জানুয়ারি আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য এ কথা বলেছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নির্দেশনাটা যেহেতু আদালতের তাই এ বিষয়ে খুব বেশি মন্তব্য বা বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পরেই আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘এ আদেশের বিষয়ে আর যা বলার অন্যরা বলবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ২৫ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ এপ্রিল রুল দেন হাইকোর্ট। রিটের ওপর শুনানি শেষে গত ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত বছরের ১০ অক্টোবর ছয় মাসের মধ্যে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনা দেন আদালত। সিনেট পূর্ণাঙ্গ করতে হলে ডাকসু থেকে নির্বাচিত পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধিও থাকার বিধান আছে। ডাকসু নির্বাচনের তিন মাস আগে তফসিল ঘোষণার বিধান রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে এ নির্দেশনার পর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ডাকসুর বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইচ্ছা থাকলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা খুব কঠিন কিছু নয়।প্রশাসনের সদিচ্ছা নেই বলেই ডাকসু নির্বাচন আটকে আছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।