
জাসদ সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রাজাকার, জঙ্গি, তেঁতুল হুজুরদের থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। যারা নারীদের কাজে বাধা দেয়, সেসব তেঁতুল হুজুরদের বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সম্মেলন ও কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এখন জাতীয় রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর। এই নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যথাসময়ে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো হলো- যথাসময়ে নির্বাচন করা, যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে তাদের ধ্বংস করা। আর রাজাকার, জঙ্গি, তেঁতুল হুজুরদের ক্ষমতার বাইরে রাখা, উন্নয়ন শ্রমিকদের ঘরে ঘরে পৌঁছানো এবং লুটেরাদের ধ্বংস করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ইনু আরও বলেন, সমাজতন্ত্র বুঝতে কঠিন বুদ্ধি লাগে না। যা চোখে দেখা যায়, তা দিয়ে সমাজতন্ত্র বুঝা যায়। মালিক হাসিতে থাকবে আর শ্রমিক কষ্টে থাকবে তা হবে না। সমাজতন্ত্র বলে, মালিকও খুশিতে থাকুক, শ্রমিকও খুশিতে থাকুক।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি মুক্তির জন্য, তাহলে কেন এখনো স্বাধীন বাংলায় গরীব আছে, তাহলে কেন বৈষম্য রয়েছে, কেন এখনো শ্রমিক ন্যায্য মজুরি পায় না, কেন এখনো বস্তি দেখা যায়, কেন এই দেশে এখনো রাজাকার।
জাসদ সভাপতি বলেন, পাকিস্তানকে বিদায় দিয়ে আমরা একা হাঁটতে শিখেছি। কিন্তু আমাদের অনেক অধিকার সংবিধানের পাতায় আছে, জীবনের পাতায় নেই।
বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংগীত এবং দলীয় সংগীত গেয়ে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি।
নাইমুল হাসান খান জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশিক প্রমুখ।
কাউন্সিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।