
মুক্তিযুদ্ধের সময় যার বয়স চার বছর ছিল, তাকেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চার বছরের শিশুকে মুক্তিযোদ্ধা বানাব কী করে? আদালতের এমন নির্দেশে আমরা বিব্রত হচ্ছি। বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের বৈঠকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা কী করব, কোথায় যাব- সেই জায়গা পাচ্ছি না। তবে, আমরা বাস্তবতাগুলো আদালতে জানিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। এখনো অনেক অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। কারণ, যাচাই–বাছাই শেষ হওয়ার আগেই আদালত তা স্থগিত করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হওয়া মৌলিক অধিকার নয়। আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে তারা সমস্যায় পড়ছেন। কেউ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা, তা দেখে আদালত যদি আদেশ দেন, তাহলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মোজাম্মেল হককে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করার পরামর্শ দেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়েন, তবে তিনি আবেদন করতে পারবেন। পরে যাচাই–বাছাই করে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।