
আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার তবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী গাজীপুর জেলা ইজতেমা শেষ হলো। তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন তবলিগ জামাতের অন্যতম শূরা সদস্য কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের।
মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিট থেকে মুনাজাত শুরু করেন এবং তা বেলা ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলে। ২৪ মিনিট স্থায়ী মুনাজাতকালে নিজ নিজ গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমত কামনা করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ইজতেমাস্থলের আশপাশের এলাকায় পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুসল্লিরা দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে গুনা মাফের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে বাদ ফজর বাংলাদেশের মাওলানা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আনিছ বয়ান করেন। আখেরি মুনাজাতের আগে কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের মুসল্লিদের উদ্দেশে ইমান-আমলের ওপর অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বয়ান করেন।
এবারের গাজীপুর জেলা ইজতেমায় আখেরি মুনাজাতে দুই লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেছেন বলে ইজতেমা আয়োজকদের ধারণা। আখেরি মুনাজাতে গাজীপুর-২ আসনের এমপি মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হন।
গত বৃহস্পতিবার শহরের ভুরুলিয়া তবলিগ মারকাজ মাঠে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়। ৩২ জেলার মুসল্লিদের দুই পর্বে বিভক্ত করে বিশ্ব ইজতেমার শুরুর পর থেকে একই জেলার তবলিগ জামাতের মুসল্লিরা এক বছর পর পর বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হতে পারে। ফলে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমায় গাজীপুর জেলার তবলিগ জামাতের মুসল্লিরা আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেননি। ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমায় গাজীপুরের মুসল্লিরা শরিক হবেন।