
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কারাগারে ঢোকানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় বেগম জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে থাকার অনুমতি দেন।
কারা কতৃপক্ষ জানিয়েছে এই কারাগারের মূল ফটকের ভেতরের একটি নীচতলা কক্ষে বেগম জিয়াকে রাখা হয়েছে। এটি আগে সিনিয়র জেল সুপারের অফিস ছিল। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে দুটি কক্ষ আছে। একটিতে ডাবল বেড দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে এটাচ বাথও রয়েছে।
একটি টেবিল, দুটি চেয়ার এবং একটি সিঙ্গেল সোফা আছে। বেগম জিয়া এই কক্ষে থাকবেন। লাগোয়া পাশের ঘরে থাকবেন তার গৃহকর্মী।
কারা সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়া সঙ্গে করেই বিছানার চাদর, বালিশের কাভার ইত্যাদি এনেছেন। গৃহকর্মী এগুলো গুছিয়ে দেন। কিন্ত কারা কক্ষের অবস্থা দেখে বেগম জিয়া অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।
কারাগারে তার কক্ষে, এয়ার কন্ডিশনার না থাকায় অত্যন্ত রাগান্বিত বেগম জিয়া বলেন ‘ তোমরা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে রেখেছো? চাকরি বাঁচাতে আর কত নীচে নামবে তোমরা।’
এরপর বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একজন লেডি ডাক্তার। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেগম জিয়ার প্রেসার ঠিক আছে। তার স্বাস্থ্যগত কোনো বড় সমস্যা নেই।’
ডিআইজি (প্রিজন) বেগম জিয়ার সঙ্গে ৪ টা ২৬ মিনিটে দেখা করেন। তিনি জানতে চান, রাতে কি খাবেন বেগম জিয়া বলেন ‘আমি কিছুই খাব না। আমার খাবার বাসা থেকে আসবে।’
ডিআইজি (প্রিজন) বেগম জিয়ার খাবার মেডিকেল পরীক্ষার পর কারাগারে দেওয়ার অনুমতি দেন। বেগম জিয়া তার কক্ষে টেলিভিশন, মাইক্রোওভেন এবং একটি ফ্রিজ চান।
তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ডিআইজি (প্রিজন) এব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানান নি।