
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের কুতুবদিয়া এলাকায় বুধবার দুপুরে কয়লা তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার কোন বিধান বন আইনে নেই। এটা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালত পরিচালনার সময় ৩৬টি চুলার ধ্বংস করা গেলেও অতিরিক্ত তাপের কারনে বাকী চুলাগুলি ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় জব্দকৃত লাকড়ি, পরিত্যক্ত ইটা ও কয়লা ১লক্ষ ৩২হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে বিক্রয় লব্দ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির পর বস্তায় ভরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকান ও অভিজাত রেস্তোরাঁয় বিক্রয় করা হয় এসব কয়লা। স্বর্ণ গলাতে এবং রেস্তোরাঁয় কাবাব তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় এসব কয়লা।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করেন মোঃ শামসুজ্জোহা কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আল-মাহমুদ, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দিলরুবা আক্তার, কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আবুল কাশেমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।