জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালী জাতিকে নয়, বিশ্বে চিরকাল মানুষকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন ঢাকায় ইউনেস্কো প্রধান বিট্রিস কালদুন। ভাষণটি ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকায় স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথম ৭ই মার্চ আজ বুধবার।
৪৭ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এসেছিলো এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। সেদিন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গত ৩০শে অক্টোবর, ঐতিহাসিক ভাষণটিকে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে, মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক তালিকায় যুক্ত করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান ও আবাসিক প্রতিনিধি বিট্রিস কালদুন চ্যানেল আইকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ৭ই মার্চ ইতিহাসের এক অনন্য ঘটনা। অলিখিত ও অনবদ্য ভাষণটির লক্ষ্য ছিলো একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্মের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি নির্ধারণ করা। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক যা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আবশ্যক।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মনজুর হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ৪২৭টি নথির মধ্যে এটিই একমাত্র ভাষণ।
এই ধরণের স্বীকৃতি অর্জনে বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আরও বেশি গবেষণার কথা বলছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।