নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত এফ এইচ প্রিয়ক ও তার শিশু কন্যা প্রিয় নময়ী তামাররা’র স্বজনদের সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গামের নিহতের বাড়ীতে গিয়ে এ সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি নিহত প্রিয়কের মা ফিরোজা বেগম ও মামা তোফাজ্জাল হোসেনসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
আখতারউজ্জামান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের স্বজনদের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য তিনি এসেছেন।
পরে আখতারউজ্জামানের মুঠোফোন থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা বলেন নিহতের মামা তোফাজ্জল হোসেন। মোবাইলে ওবায়দুল কাদের নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন আপনাদের এ বিপদে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পাশে রয়েছে। হতাহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ সব কিছু সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এ সময় তিনি স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণ করার কথা বলেন।
এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন গাজীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র এস এম মোকসেদ আলম, দিলরুবা ফায়জিয়া, সদস্য রাশিদা খন্দকার, আবুল খায়ের বিএসসি, আনোয়ার হোসেন সরকার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মাতবর প্রমুখ।
নিহত প্রিয়ক গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলী ছেলে।