
সম্মেলন করে নতুনদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে নারাজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। তবে তাদের হাতে আর আর উপায় রইল না। মে মাসের মধ্যেই সম্মেলন করে নতুনদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বর্তমান কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এই নির্দেশ দেন দলের সভাপতি।
গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে মার্চের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশ দেন। এটা শেখ হাসিনার ইচ্ছা-সেটিও জানিয়ে দেন তিনি।
কিন্তু এতে নাখোশ হয় বর্তমান কমিটি। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নজিরবিহীন ভাবে তাকে আক্রমণও করেন।
কাদেরের নির্দেশের পর বিষয়টি নিয়ে জানতে দুই দিন পর গণভবনে যান ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। সেদিন শেখ হাসিনা এই দুই নেতাকে ৩১ মার্চের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশ দেন বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি নিয়ে চলা ছাত্র সংগঠনটির বর্তমান কমিটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সম্মেলন করতে চাইছে না। এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে দেন দরবারও করছে।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির দাবি, নতুন কমিটি দায়িত্বে এলে তারা ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে পারবে না।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর। আর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
গত ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশের দিনও ছাত্রলীগকে মার্চের মধ্যেই সম্মেলন করতে নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান দলের একজন নেতা। কিন্তু এরপরও ছাত্রলীগ উদ্যোগ নেয়নি। আর দুই দিন পর গণভবনে যান সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
সেখান থেকে বের হয়ে জাকির হোসাইন বলেন, তারা সম্মেলন করছেন না। আর শেখ হাসিনা সেটি অনুমোদনও করেছেন।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এক নেতা ছাত্রলীগের সম্মেলন করতে না চাওয়ার বিষয়টি তোলেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, তাদেরকে সম্মেলন করতেই হবে। আর মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি ভালো দিন দেখে তা করতে হবে।