সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারহানা মিলি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অসৌজন্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সে জন্য মহিলা আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তার এই সংগঠন পরিপন্থী, সংগঠন বিরোধী এবং অসৌজন্যমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো।
এর আগে গেলো ৩ মার্চ ফারহানা মিলি তার ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছিলেন, ‘রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে! শিক্ষিত না হলে দোষ নাই, একাধিক নেতা আর ব্যবসায়ীদের শারীরিক সুখ দিতে পারলেই পদবী পাওয়া যাবে!
তিনি আরো লিখেছিলেন, মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই চারটা রাজনৈতিক ভালো কথা বলতে না পারলেও হোটেলে গিয়ে বাচ্চাদের ভঙ্গিমায় প্রেমালাপ পারলেই রাজনীতি হবে! স্বামীর রোজগারে ঠিকমত বাসাভাড়া আসবে না, কিন্তু জীবন যাপনের স্টাইল লাখ টাকার বাজেটে করতে পারাটাই রাজনৈতিক স্বার্থকতা তাদের জন্যে!...’
ফারহানা মিলির এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারহানা মিলি বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কিছু লেখেননি, লিখেছেন স্থানীয় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে। কিছুক্ষণ আগে আমি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বলেন, ‘মিলি অনেকদিন ধরেই অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। কখনো ফেসবুকে কখনো প্রকাশ্যে। সবশেষ স্ট্যাটাসে সে সংগঠনের আচরণবিধি চূড়ান্তভাবে লঙ্ঘন করেছে। সে কারণে তাকে সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।