
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, গাজীপুরকে মেট্রোপলিটন সিটি ঘোষণা করা হয়ে গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন আইন সংসদে উত্থাপিত হয়েছে এবং সংসদীয় কমিটি থেকে রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে। এখন পার্লামেন্ট যে দিন শুরু হবে তার কয়েক দিনের মধ্যেই এটা পাস হয়ে যাবে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
জনদুর্ভোগের কথা বলে বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় না, বিএনপির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার যখন মনে করেন, এখানে কোনো রকম বিশৃংখল পরিস্থিতি হতে পারে কিংবা কোনোরকম আশঙ্কা থাকে তখনই তারা মিটিং করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। এর মানে এটি নয় যে, তাদের কোনো দিন আর মিটিং করতে দেবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কিছুদিনের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছি। মেট্রোরেল ঢাকায় দৃশ্যমান হয়ে যাচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দৃশ্যমান হচ্ছে। পদ্মাসেতু আমাদের গর্বের সেতু। কারো কাছ আমাদের হাত পাততে হয়নি এই পদ্মা সেতুর জন্য। আমরা সেই জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। আমরা এখন কারো কাছে কোনো সহযোগিতা চাই না।

তিনি নতুন ভোটারদের কাছে আবেদন রেখে বলেন, আমরা খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছি এবং অন্যান্য নির্বাচনে যাচ্ছি। এ নির্বাচনে আমাদের এই উন্নয়নের ধারা, আলোর ধারা যদি আমরা বজায় রাখতে চাই। আমরা যদি আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত না হতে চাই, তাহলে মনে রাখতে হবে- নৌকার বিকল্প আর কিছু নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্রই শেখ হাসিনা। নৌকার বিকল্প শুধুমাত্রই নৌকা। নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে এই উন্নয়নের ধারাকে, এই আলোকিত বাংলাদেশকে আরো বেশি আলোকিত করতে আমাদের স্বপ্নের ২০২১ যেন বাস্তবায়ন হয়। ২০২১-এ মধ্যম আয়ের দেশে আমরা যেতে পারি। আমরা যেন আর অন্ধকারে নিমজ্জিত না হই। আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যেন আবার ভেঙে না পড়ে। আমাদের খাদ্য ঘাটতি আবার যেন না হয়। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ আর হতে চাই না।
জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন, ডুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
তিনি জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন কর্তৃক কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এ জাতীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। মন্ত্রী কয়েকজন কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক তুলেদেন।