বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না। কেউ কুড়ে ঘরেও থাকবে না। সবাইকে অন্ততপক্ষে একটি টিনের ঘর হলেও করে দেব। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রায় ১০০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন শেষে তিনি বলেন, এই খুলনার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করেছি। সারাদেশের বিনামূল্যে বই, বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবাসহ যা যা দরকার করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করে দিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে নিজের ব্যবসা নিজে করার সুযোগ পাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। সকল ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মহান স্বাধীনতার মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছি।’
বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে আন্তঃগ্রীড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ একহাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগীতা বাড়াতে হবে।’
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নগরীর খালিশপুরস্থ আইইবি কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।