রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। জনসভা শুরু হয় দুপুর ২টায়। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে সভাস্থলে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জনসভাস্থলে প্রধানমন্ত্রী আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিতি নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে তাদের জবাব দেন।
জনসভার সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের শপথ নিতে হবে। আজ আমাদের শপথ হোক— মৌলবাদী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব।’ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরবর্তী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই প্রথম দেশে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হচ্ছে। বৈশ্বিক এই স্বীকৃতি পাওয়ায় দিনটিকে এবার বিশেষ আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করছে আওয়ামী লীগ।
৭ মার্চের এই জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছান। এর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে। এর আশপাশের এলাকাগুলোতেও দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন নেতাকর্মীরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা উপলক্ষে এরই মধ্যে আশপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ ও শাহবাগ থেকে টিএসসি এবং দোয়েল চত্বর এলাকাও বন্ধ রয়েছে। তবে জনসভাকে কেন্দ্র করে কাকরাইল থেকে হাইকোর্ট এলাকায় যান চলাচল শিথিল রয়েছে।
এদিকে, সমাবেশ মঞ্চে রাখা হয়েছে ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আদলে তৈরি করা প্রতিকৃতি।