
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মত গাজীপুর সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। ভাওয়ালগড় ও মির্জাপুর ইউনিয়নে ধানের শীষ ও পিরুজালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গাজীপুরে আওয়ামীলীগের এই ফল বিপর্যয় মানতে পারছেন না দলের কর্মী সমর্থকরা। তাদের মতে গাজীপুর ৩ আসনের দলীয় কোন্দল, নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম, ও তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব না দেয়ায় ভরাডুবির মূল কারন।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থিত সালাউদ্দিন সরকার নির্বাচনের কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর পরেই তাকে এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়া হয়। যা দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। এখানে বিএনপির আবু বকর সিদ্দিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন সরকার পান ১৩ হাজার ৯৩৫ ভোট।
পিরুজালী ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমান আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ সরকার এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৬ হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মাসুদুল কবির ৩ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকেন।নৌকা প্রতিকের জালাল উদ্দিন ২ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
মির্জাপুর ইউনিয়নে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ফজলুল হক মুসুল্লি ৫ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের মোশারফ হোসেন দুলাল ৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থান লাভ করেন।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, নির্বাচনের প্রতিটি ইউনিয়নেই ছিল বিদ্রোহী প্রার্থী। এদের কারনেই মূলত দলীয় প্রার্থীরা সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট রেখে আমাদের দলীয় বিভেদ মিটানোই প্রধান কাজ। সে লক্ষেই আমরা কাজ করছি।