ডেস্ক: গাজীপুরের একটি শুটিংস্পটে এক অভিনেত্রীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (২৭ এপ্রিল ) রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন ওই অভিনেত্রী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান ওরফে শামীম (৫৩) নামের ওই পরিচালক ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুটিং স্পটে তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। মিজানুর রহমানের বাড়ি গাজীপুর জেলা শহরের বিলাসপুর এলাকায়। অন্য আসামিরা হলেন মিজানুরের সহযোগী আতিক (৩০) ও ক্যামেরাম্যান মো. মামুন (২৬)।
ওই ঘটনার পর থেকে অভিযোগকারী তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি করেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। বর্তমানে তিনি ঢাকার সাভার উপজেলায় বোনের পরিবারের সঙ্গে থেকে মডেলিংয়ের কাজ করেন। সম্প্রতি মিজানুর ওই তরুণীকে নির্দিষ্ট সম্মানীতে তাঁর পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে ৮ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের নীলেরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই শুটিং স্পটে যান তরুণী।
শিডিউল অনুযায়ী অন্য শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ও শুরু করেন। তবে ১০ এপ্রিল রাতে শামীম তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। এ সময় আতিক ও ক্যামেরাম্যান মামুন কক্ষের দরজায় পাহারা দিয়ে মিজানুরকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করলে মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দিয়ে তরুণীকে দিয়ে অভিনয়ের কাজ চালিয়ে যান মিজানুর। এরপরও তিনি তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২৩ এপ্রিল মিজানুর ধর্ষণ করার পর ওই তরুণী কৌশলে শুটিং স্পট থেকে বের হয়ে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান।