
প্রায় ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ যেন ঈদের আগেই ঈদের ছুটি। শুধু তাই না ডাবল ঈদের ছুটি। লম্বা এই ছুটি শুরু হতে যাচ্ছ চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে। ২৭ ও ২৮ যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার, সরকারি বন্ধ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে পরদিন ২৯ এপ্রিল রবিবার বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। ৩০ এপ্রিল সোমবার অফিস খোলা থাকলেও এর পর দুইদিন ১ মে মঙ্গলবার ‘মে দিবস’ এবং পরদিন ২ মে বুধবার শবে বরাতের বন্ধ। ৩ মে বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকলেও ৪ ও ৫ মে শুক্র ও শনিবার, সরকারি বন্ধ।
আমাদের দেশের যে সংস্কৃতি তাতে বন্ধের মাঝে একদিন খোলা থাকলে সেদিন বন্ধ নিয়ে লম্বা ছুটি কাটানোর প্রবণতা বেশি। তাছাড়া কাজের গতিও কমে আসে এ সময়টায়। এই লম্বা ছুটির কারণে সরকারি দফতরে কর্মরতরা খুশি হলেও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে তাঁরা খুশি হতে পারেন নি। কারণ, সরকারি ছুটির তালিকা ঠিকঠাক থাকলে ঈদ-উল-ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন, শনিবার। সেক্ষেত্রে ছুটি শুরু হবে ১৫, ১৬, ১৭ জুন। অর্থাৎ শুক্র, শনি ও রবিবার।
ছুটির তালিকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা খুশি হলেও বেসরকারি মালিকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, এই লম্বার ছুটির কারণে বৈদেশিক লেনদেন বন্ধ থাকে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমদানি-রফতানিতে। এছাড়া উৎপাদন ব্যহত হয়, যেকারণে অনেক সময় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না বলে মনে করেন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক।
যাই হোক, কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটি খুব কমই পেয়ে থাকেন। টানা ছুটিতো অনেকেই পান না। এই ছুটিতে মানষিক প্রশান্তির জন্য দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। সমুদ্রস্নান করতে পারেন কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটায়। এছাড়া প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে্যর লীলাভূমি রাঙামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়িতে পেতে পারেন নৈসর্গিক মুগ্ধতা। এছাড়া সিলেটের জাফলং, চা বাগানের সোঁদা গন্ধ প্রবলভাবে টানে পর্যটকদের। কর্ম কোলাহল থেকে ক্ষণিক এই বিরতিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলাহল থেকে।