
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কে হবেন নগরপিতা এনিয়ে মাঠে ময়দানে, চায়ের দোকানে, হোটেল-রেস্তোরায়, বাস ও রেলওয়ে ষ্টেশনে, পাড়া-মহল্লায়, গ্রামে ও গঞ্জে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বিএনপির রাজনৈতিক ময়দানের পরীক্ষিত নেতা বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ও দূরদর্শিতার সাথে নতুন প্রজন্মের সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম কতদূর এগুতে পারবেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। উভয় প্রার্থী কিভাবে তাদের ভোটারদের কাছে টানেন তা এখন দেখার বিষয়। এদিকে গত রোববার ও সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে মেয়র পদে ৯ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রির্টানিং অফিসার।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের সমন্বয়কারী তারেক আহম্মেদ বলেন, মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেন। পরে জেলা রির্টানিং অফিসার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে মেয়র পদে ১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার, জাসদের মো. রাশেদুল হাসান রানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামি ফন্টের মো. জালাল উদ্দীন, ইসলামি ঐক্য জোটের মাওলানা মো. ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কাজী রুহুল আমিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা এস এম সানাউল্লাহ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ।
এছাড়া মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফছার উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তারেক আহম্মেদ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৪ এপ্রিল এবং ১৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে উভয় দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে গন-সংযোগ ও ঘরোয়া ভাবে উঠোন বৈঠক, ওয়াজ-মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হ্যান্ডবিলে মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার জানান দিলেও আগামী ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পরই পুরোদমে মাঠে নামবেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রার্থীরা তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সমাজ সেবামূলক সংগঠনসহ স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান-অনুদান, সভা-সমাবেশ এবং মিছিল মিটিং এবং হোন্ডা মহড়ার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আদালতে হাজিরায় হাসান সরকার, নির্বাচনী মাঠে জাহাঙ্গীর আলম: টঙ্গী মডেল থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সোমবার গাজীপুর আদালতে হাজিরা দেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার।
এর আগে সকালে টঙ্গীর তিলারগাতি এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একটি কারখানা ও বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি। বিকেলে আদালত থেকে টঙ্গীর বাসভবনে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সময় দেন এবং রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সাথে নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতির খোঁজ খবর নেন। এসময় তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। আচরণবিধির বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী ২৪ এপ্রিলের আগে আনুষ্ঠানিক বা দৃশ্যমান নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্যও নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও বসে নেই। তিনি রাত-দিন নির্বাচনী কর্মব্যস্ততায় রয়েছেন। তিনি নিয়মিত এলাকায় মিছিল-মিটিং করে যাচ্ছেন। সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর বড় দেওড়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় আসেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর তিনি টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ অফিসে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা করেন।
হাসান উদ্দিন সরকারকে পেশাজীবীদের সমর্থন: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টঙ্গীস্থ হাসান সরকারের বাসভবনে তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে এ সমর্থন জানান বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. মো. সাইফুল আলম, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর-এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, এ্যাডভোকেট নূরুল কবির শরিফসহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের সমন্বয়কারী তারেক আহম্মেদ বলেন, মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেন। পরে জেলা রির্টানিং অফিসার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে মেয়র পদে ১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার, জাসদের মো. রাশেদুল হাসান রানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামি ফন্টের মো. জালাল উদ্দীন, ইসলামি ঐক্য জোটের মাওলানা মো. ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কাজী রুহুল আমিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা এস এম সানাউল্লাহ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ।
এছাড়া মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফছার উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তারেক আহম্মেদ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৪ এপ্রিল এবং ১৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে উভয় দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে গন-সংযোগ ও ঘরোয়া ভাবে উঠোন বৈঠক, ওয়াজ-মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হ্যান্ডবিলে মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার জানান দিলেও আগামী ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পরই পুরোদমে মাঠে নামবেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রার্থীরা তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সমাজ সেবামূলক সংগঠনসহ স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান-অনুদান, সভা-সমাবেশ এবং মিছিল মিটিং এবং হোন্ডা মহড়ার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আদালতে হাজিরায় হাসান সরকার, নির্বাচনী মাঠে জাহাঙ্গীর আলম: টঙ্গী মডেল থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সোমবার গাজীপুর আদালতে হাজিরা দেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার।
এর আগে সকালে টঙ্গীর তিলারগাতি এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একটি কারখানা ও বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি। বিকেলে আদালত থেকে টঙ্গীর বাসভবনে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সময় দেন এবং রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সাথে নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতির খোঁজ খবর নেন। এসময় তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। আচরণবিধির বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী ২৪ এপ্রিলের আগে আনুষ্ঠানিক বা দৃশ্যমান নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্যও নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও বসে নেই। তিনি রাত-দিন নির্বাচনী কর্মব্যস্ততায় রয়েছেন। তিনি নিয়মিত এলাকায় মিছিল-মিটিং করে যাচ্ছেন। সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর বড় দেওড়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় আসেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর তিনি টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ অফিসে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা করেন।
হাসান উদ্দিন সরকারকে পেশাজীবীদের সমর্থন: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টঙ্গীস্থ হাসান সরকারের বাসভবনে তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে এ সমর্থন জানান বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. মো. সাইফুল আলম, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর-এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, এ্যাডভোকেট নূরুল কবির শরিফসহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।