
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের নতুন করে অন্তর্ভুক্ত ছয়টি মৌজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম এনায়েত উল্লা চৌধুরী ও ফারজানা শারমিন পুতুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের নতুন করে অন্তর্ভুক্ত ছয়টি মৌজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট দায়ের করা হয়েছিলো। আদালত শুনানি নিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যেন এই আদেশের কোনও প্রভাব না পড়ে, তাই রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ চেয়েছি।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।
রিট আবেদনে সাভারের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণ করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট ছয় মৌজার ক্ষেত্রে স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল।
রিটে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, এলজিআরডির উপ-সচিব (সিটি করপোরেশন-২ সেকশন), ঢাকার ডিসি, গাজীপুরের ডিসি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য আগামী ১৫ মে দিন নির্ধারণ রয়েছে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট জারি করে। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আইনজীবী এ কে এম এনায়েত উল্লা চৌধুরী জানান, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। তখন বিষয়টি নিয়ে এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে আবেদনটি গ্রাহ্য না করায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। তখন আদালত আজহারুল ইসলামের আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। সেই নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।