
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে পরে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে তুলে নেয়া এস এম সানাউল্লাহ আটক হয়েছেন। তার সঙ্গে পুলিশ ধরেছে আরও ৪৪ জনকে। তারাও সবাই জামায়াতের নেতাকর্মী।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে পূবাইল এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে আটক করা হয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরদের। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের দলীয়ভাবে ভোটের সুযোগ না থাকায় গাজীপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সানাউল্লাহ। তবে ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দুই দিন আগে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতা হয় এবং সানাউল্লাহ ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়ে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন করেন।
আর ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পরদিন মুক্তিযোদ্ধা হাসান সরকার তার প্রচারযুদ্ধ উদ্বোধনের সময় স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতের নেতারাও তার সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ তার কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে জনান, ভোর সাড়ে সাতটার দিকে গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পূবাইলের স্বপ্নচূড়া পিকনিক স্পটে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে আটক সানাউল্লাইসহ ৪৫ জনের কাছ থেকে ১৫টি পেট্রল বোমা, চারটি ককটেল ও জিহাদি বই উদ্ধারের কথাও জানান পুলিশ সুপার। তার ধারণা, আটকরা নাশকতার উদ্দেশ্যে আশপাশের জেলা থেকে ভোরে সমবেত হয়েছিল পূবাইলে।
সঙ্গীসহ জামায়াত নেতা সানাউল্লাহ যে এলাকায় আটক হয়েছেন, সেটি সিটি করপোরেশনের সীমানার ভেতরেই। ভোটের প্রচার চলাকালে তার আটক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় নানা আলোচনা তৈরি করেছে।
তবে এ বিষয়ে সানাউল্লাহর বক্তব্য নেয়া যায়নি। পুলিশ সুপার হারুন যখন সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, তখন গারদের ভেতরে ছিলেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, জয়দেবপুর থানায় আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
- ঢাকাটাইমস