
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে তার মালেকের বাড়ি বাসভবনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
উক্ত সভায় জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন,আপনাদের সহযোগিতায় আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে পারলে গাজীপুর সিটিকে গ্রীণ সিটিতে পরিণত করবো। গাজীপুরের ৫৭টি ওয়ার্ডকে ৮টি অর্থনৈতিক জোনে বিভক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে। এছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডে আধুনিক গ্রন্থাগার স্থাপন, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার লক্ষ্যে বর্জ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা এবং নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি একজন এডভোকেট। আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা দেখিয়ে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ীই চলার চেষ্টা করি। এর মধ্যে অনিচ্ছাকৃতভাবে আমি অথবা আমার নেতাকর্মীদের দ্বারা দু’একটি ভুলত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তবে নির্বাচন আচরণবিধি মেনেই আমি প্রতীক পাওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাঝে কোন দলীয় বিভেদ বা কোন্দল নেই। এডভোকেট আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। মেয়র পদে আমি প্রার্থী হলেও আজমত উল্লা খানই সিটির নির্বাচন পরিচালনা করছেন। তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক আমাদের সবার। স্বাধীনতার পক্ষের জনগণ অবশ্যই আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে গাসিক নির্বাচনে আমাকে তথা আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবে। ইনশাআল্লাহ।
তিনি বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিনি একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। সিটি নির্বাচনে তিনি আমার কোন সহযোগিতা চাইলে আমি ওনাকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। তিনি বলেন, হাসান উদ্দিন সরকার যদি আমার সাথে একই মঞ্চে বক্তব্য দিতে চান তাহলেও আমি তাকে স্বাগত জানাব।
আগামী নির্বাচনে সিটি মেয়র নির্বাচিত হলে স্থানীয় সাংবাদিকদের স্বল্পমূল্যে আবাসন, ছেলে মেয়েদের ফ্রি লেখাপড়ার ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকার করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।