ছাত্রলীগেরই এক নারী নেত্রীসহ দুইজনকে ঘরে ঢুকে পেটানোর অভিযোগ ছিল। এর ভিডিও আছে। কিন্তু ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে অভিযুক্ত নেতাকে বহিষ্কার করেও সে আদেশ তুলে নিয়েছে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটি।
গত অক্টোবরে এই ঘটনাটি ঘটার পর সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান অনিককে। তবে গত মাসে সে আদেশ প্রত্যাহারের পর অনিক আবার কলেজ শাখার সভাপতি হয়েছেন।
সম্প্রতি ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী তাকে পেটানোর একটি ভিডিও সংগ্রহ করে ফেসবুকে তা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি এবার প্রমাণ দিয়ে আশা করছেন, ন্যায়বিচার পাবেন।
![]() |
অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান অনিক |
ভিডিওতে দেখা যায়, শুভ্রার দারুস সালামের বাসায় ঢুকে তার পাশাপশি রুমমেট মাইমুনাকে পেটাচ্ছেন অনিক ও তার সহযোগীরা।
ভিডিওটি মোট ৩৪ সেকেন্ডের। আর এতে দেখা যায় শুভ্রা ও তার বন্ধু মাইমুনাকে চড় থাপ্পরের পাশাপাশি পেটানো হচ্ছে লাঠি দিয়েও।
এ ঘটনায় শুভ্রা বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় মামলাও করেন। আর এরপর সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় অনিককে।
অনিক এখন প্রকাশ্যেই। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে অভিযোগের পক্ষে ‘প্রমাণ না থাকার’ কথা জনিয়ে ছাত্রলীগ দোষ দিয়েছে শুভ্রাকেই। আর এপ্রিলের শুরুতে অনিকের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মুজিবুর রহমান অনিককে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকাটাইমসকে ছাত্রলীগ নেত্রী শুভ্রা বলেন, ‘সেদিন অনিককে নির্দোষ বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল আমি মিথ্যা বলেছি। এখন তো প্রমাণ আছে। ওদেরই করা ভিডিও। ভিডিওটা পেতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপরও ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এখন দেখি সাংগঠনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
শুভ্রা জানান, তাকে ও তার বন্ধুকে পেটানোর ভিডিওটি করেছিলেন অনিকের সহযোগীরাই। তাদের কাছ থেকেই এটি সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘হ্যাঁ, মামলা করা হয়েছিল। তদন্ত কাজ চলছে।’
এক প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কোনো ভিডিও দেখিনি। যদি ভিডিওতে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’