
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর টঙ্গীতে লেগুনায় আগুন ও যানবাহন ভাঙচুর করার অভিযোগে ১০৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে টঙ্গী থানা পুলিশ।
মামলায় আটক ১২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএনপি নেতা হাজী সামাদ (৬০), ফরিদ আহমেদ (৪০), আব্দুর রশিদ (৫৫), গাজী মোশারফ (৩০), সফি উল্লাহ খান (৫৫), আব্দুল্লাহ (৩৩), তৌহিদ ওরফে কাইয়ুম (৩২), আলাউদ্দিন স্বপন (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৯), সাব্বির আহমেদ (২৮), আজাদ হোসেন সোহেল (২৭) ও মাকসুদুর রহমান শাকিল (২৬)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে গাজীপুর সিটির নির্বাচন হাই কোর্টের আদেশে স্থগিত হয়ে গেলে টঙ্গীর পৌরসভা গেটের সামনের সড়কে একটি লেগুনায় আগুন ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় ১০৩ জনের নামে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে টঙ্গী থানায় মামলা করা হয়। টঙ্গী থানা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আল আমীন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, সদর উপজেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন, জেলা বিএনপি নেতা শওকত হোসেন সরকার ও তার স্ত্রী, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লি, কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, কাউন্সিলর সবদের হাসান, সফিকুল ইসলাম সফি, হেফাজত ইসলামের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিনসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী, বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এদিকে, গতকাল আটক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহবুবা আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যানবাহন ভাঙচুর ও লেগুনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।