গাজীপুরের এসপি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘গাজীপুরের এসপি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে বৃহস্পতিবার (৩ মে) বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে বিএনপি আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই দু’জনকে প্রত্যাহারেপির দাবি জানায়।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘খুলনায় তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন। ওনারা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুরের এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি যে, কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ‘
আপনারা নিজেরা কয়েকজন তো বসেছিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা তাদের অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ ) করব।’ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যের অবস্থান করা হোটেল পুলিশের ঘিরে রাখার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘একই হোটেলে বিদেশিরা ছিল। যার কারণে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি মনে করেছে তাদের ঘিরে রেখেছে। ওই হোটেলে বিএনপির প্রতিননিধি ছিল পুলিশ তা জানত না।’
এর আগে বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের নেতৃত্বে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকতুল্লাহ বুলু ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য আগামী ১৫ মে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।