আর হয়তো কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ দ্রুতগতিতে পাড়ি দিতে পারবেন আকাশপথে। অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পেড়িয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছে যাবেন মাত্র ২ ঘণ্টায়! এমনই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুপারসনিক প্লেন নিয়ে আসতে চলেছে বোয়িং।
এই যাত্রীবাহী বিমানের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় প্রায় ১৮০০ মাইল। তবে এখনও এর ডিজাইন প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে বলে বোয়িং-এর তরফে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষ - উভয়ের কাজেই এই সুপারসনিক প্লেন ব্যবহৃত হতে পারে। তবে ঠিক কতদিনের মধ্যে সত্যি সত্যি এই বিমান চলাচল শুরু হবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি বোয়িং। অ্যাটলান্টায় আয়োজিত অ্যামেরিকান ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিকস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকস-এর বার্ষিক কনফারেন্সে এই সুপারসনিক প্লেনের কথা জানান বোয়িং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাভিদ হুসেন।
এর আগে ১৯৭৫ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং এয়ার ফ্রান্সের হয়ে আকাশে উড়ত যাত্রীবাহী সুপারসনিক বিমান কনকোর্ডে। কিন্তু এর খরচ অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় ২০০৩ থেকে এই বিমান বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই বন্ধ সুপারসনিক বিমান সফর। রয়টার্সের নিউজ আর্কাইভ অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে পাড়ি দিয়েছিল এই প্লেন।