বাংলাদেশে বিত্তশালী ব্যক্তি-করদাতাগণের কাছ হতে নীট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জ আদায় করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে বিধানটি কার্যকর আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজে আয় ও সম্পদ বৈষম্য বাড়ার যে ঝুঁকি রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তি-করদাতার সারচার্জ একটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর সারচার্জের ক্ষেত্রে কিছুটা সংস্কার করে নীট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জ আরোপের পাশাপাশি যাদের নিজ নামে দুটি করে গাড়ি রয়েছে বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের গৃহ-সম্পত্তি রয়েছে তাদেরকেও সারচার্জের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাব অনুযায়ী, নীট পরিসম্পদ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার অধিক কিন্তু ৫ কোটি টাকার অধিক নয়, বা
করদাতার নিজ নামে দুইটি মোটরগাড়ির মালিকানা বা কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করদাতার নামে ৮,০০০ বর্গফুট বা তার অধিক গৃহ-সম্পত্তির মালিকানা থাকলে ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে।
এছাড়া নীট পরিসম্পদ ৫ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ১০ কোটি টাকার অধিক নয়, তার ওপর ১৫ শতাংশ; ১০ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ১৫ কোটি টাকার অধিক নয়, তার ওপর ২০ শতাংশ ও নীট পরিসম্পদ ১৫ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ২০ কোটি টাকার অধিক নয়, তার ওপর ২৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হবে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নীট পরিসম্পদের মূল্যমান ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৩ হাজার টাকা এবং ১০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর বিদ্যমান ২.৫ শতাংশ হারে সারচার্জ বহাল থাকবে।