নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই অনিয়ম বরদাশত করা হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সচিব গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। এ সময় নির্বাচনে জালভোট ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে অনিয়মের অভিযোগ তোলে ভোটগ্রহণ বন্ধের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশনের উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা।
অপরদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রুহুল কবির রিজভীও অভিযোগ করেন, শতাধিক কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জালভোট ও সিল মারারও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্রে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন মণ্ডল। তিনি বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারা ও জালভোট দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এ নির্বাচনে ৪২৫ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। সাত মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে গাজীপুর সিটির মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকার।