রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হবে, এমন সম্ভাবনা দেখেননি ফুটবলপন্ডিতরা। ফ্রান্সের ক্ষেত্রে তবু প্রত্যাশা ছিল। অন্যতম ফেভারিট হিসেবে চিহ্নিতও হচ্ছিলেন গ্রিজম্যান, এমবাপেরা। তুলনায় ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠা অবাক করার মতো। এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে তারা।
ফ্রান্সের অবশ্য বিশ্বকাপ জেতার ইতিহাস রয়েছে। কুড়ি বছর আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ফের জিতলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হবে ফরাসিরা। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে এ বারের ফাইনালে ওঠাই সেরা সাফল্য। নতুন ইতিহাস লিখেই ফেলেছে তারা। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তা রূপকথার মতোই লাগবে।
দুই দলেই রয়েছেন একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার। ফ্রান্সে যেমন পল পোগবা, এন’গোলো কান্তে, মাতুইদিরা রয়েছেন মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে। ক্রোয়েশিয়ার তেমনই রয়েছেন লুকা মদরিচ, ইভান রাকিতিচরা। ফ্রান্স সামনে রাখছে জিহুকে, ক্রোয়েশিয়া মাঞ্জুকিচকে। ফ্রান্স অবশ্য গোলের জন্য কোনও একজনের ওপর নির্ভর করছে না। রক্ষণের ফুটবলাররাও গোল করে যাচ্ছেন। দুই দলের গোলরক্ষকই নির্ভরযোগ্য। ফ্রান্সের লরিস, ক্রোয়েশিয়ার সুবাসিচ।
ফ্রান্স শুরুতে তেমন নজর কাড়েনি। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে তারা। ক্রমশ ছন্দোবদ্ধ দেখাচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়া গ্রুপের সব ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু, তার পর এগিয়েছে হোঁচট খেতে খেতে। দু’বার জয় এসেছে টাইব্রেকারে। সেমিফাইনালে জয় এসেছে অতিরিক্ত সময়ে।
পরিসংখ্যান বলছে মোট পাঁচ দেখায় তিনবার জিতেছে ফ্রান্স, দু’বার জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে একবারের দেখায় জয়ী ফ্রান্সই। ক্রোয়েশিয়া কি এই পরিসংখ্যানেও সমতা ফেরাতে পারবে? অপেক্ষা এখন রবিবার রাতের জন্য।- সংবাদসংস্থা