গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত গেজেট সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, “এখন মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ আয়োজনের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে গেজেটের কপি পাঠানো হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়রকে ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন কাউন্সিলর প্রার্থীদের শপথ পাঠ করাবেন।
নির্বাচিত একজন মেয়র, ১৬ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলরদের নাম ও ঠিকানা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
গত ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। এই সিটির ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে ৯টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। এসব স্থগিত কেন্দ্রের ৮টিতে ১৯ জুলাই ফের ভোট হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের চেয়ে ২ লাখের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম।
এতে প্রায় ৫৮.৪৫% (স্থগিত কেন্দ্র বাদ দিয়ে) শতাংশ ভোট পড়ে।
কে কত ভোট (বর্ণানুক্রম অনুযায়ী)
ভোটের পর ১ জুলাই নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল জমা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল একীভূত করে দেখা যায়- মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে কাজী রহুল আমিন (সিপিবি-কাস্তে) ৯৪৪ ভোট; ফজলুল রহমান (ইসলামী ঐক্যজোট-মিনার) ১,৬৬২ ভোট; ফরিদ আহমেদ (স্বতন্ত্র-টেবিল ঘড়ি) ১,৫০৬ ভোট; মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নৌকা) ৪,০২,৫১৮ ভোট; মো. জালাল উদ্দিন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-মোমবাতি) ১,৩৪৩ ভোট; মো. নাসির উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-হাতপাখা) ২৬,৩৮৭ ভোট এবং মো. হাসান উদ্দিন সরকার (বিএনপি-ধানের শীষ) ১,৯৮,০৩৩ ভোট পেয়েছেন।
১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ ভোটের মধ্যে ৪১৬টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮টি। এ হিসাবে ভোট পড়ার হার ৫৭.২২ শতাংশ। এরমধ্যে ৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৩টি বৈধ ভোট ও বাতিল ভোট রয়েছে ১৮ হাজার ৬১৫টি।
৯টি স্থগিত কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ২৩ হাজার ৯৫৯টি। এসব ভোট বাদ দিয়ে গাজীপুরে মেয়র পদে এবার ভোটের হার প্রায় ৫৮%।
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট রয়েছে আগামী ৩০ জুলাই।