ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ছাত্রনামধারী এক যুবক আটক হয়েছেন, যার ব্যাগে ছিল একটি দা।
সোমবার এই সংঘর্ষ চলাকালে কাঁধে ব্যাগসহ ওই যুবককে আটক এবং সেই ব্যাগ খুলে দা বের করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ব্যাগে দা কেন, এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারছিলেন না ওই যুবক।
যারা ওই যুবককে আটক করেন, তারা নানা প্রশ্ন করতে থাকেন তাকে। আর নাম থেকে শুরু করে তার বাড়ি, কোন বিভাগে পড়েন, সেসব বিষয়েও নানা জবাব দেন তিনি।
ওই যুবক জানান, তার নাম জিফান। তিনি নিজেকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জেনিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন।
কোথায় থাকেন- এমন প্রশ্নে কিছু বলতে চাইছিলেন না ‘জিফান’। পরে চাপের মুখে বলেন, মানিকগঞ্জ। ঢাকা লাগোয়া এই জেলা থেকে প্রতিদিন ঢাকায় এসে ক্লাস করার দাবিও করেন তিনি। আর ধারালো অস্ত্রটিও তিনি মানিকগঞ্জ থেকেই আনেন।
ইস্টওয়েস্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে জিফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাগের ভেতর দা কেন, এই প্রশ্ন বারবার জিফানকে করছিলেন অন্যরা। কিন্তু তিনি কোনো জবাব না দিয়ে কাঁচুমাচু করতে থাকেন।
পরে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে ওই যুবক বলেন, ‘আমি শুনছিলাম আওয়ামী লীগের লোকেরা সব জায়গায নাকি ই করতাছে, ছাত্রলীগের লোকেরা সবাইকে ধইরা ধইরা মারতাছে।’
এই তরুণ ইস্টওয়েস্টের ছাত্র কি না বা আদৌ তার নাম জিফান কি না, সে বিষয়টি অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার থেকে আর রাস্তায় না নামলেও সেদিন থেকে রামপুরার পাশে আফতাবনগর এলাকায় ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। আর দুই দিন ধরেই তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রথম দিনের তুলনায় আজ দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষ আরও ব্যাপক হয়েছে।
২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই জন চাত্র নিহতের পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনেও ছাত্র পরিচয়ে অছাত্রদের অংশগ্রহণের পরিচয় মিলেছে। ছাত্রদের পোশাক বানিয়ে এবং ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করারও প্রমাণ মিলেছে।