সুন্দর হাসির জন্য দাঁত ঝকঝকে রাখা জরুরি। এজন্য নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে দাঁতে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। দাঁত সুস্থ ও সবল রাখতে কিছু খাবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
পানি :
শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি পানি দাঁতও সুস্থ রাখে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই পানি পান করা উচিত। তাহলে তা দাঁত থেকে লেগে থাকা খাবার সরাতে সাহায্য করবে। দাঁতের সুস্থতা জন্য মাঝেমধ্যে পানিতে ফ্লোরাইড মেশানো জরুরি। বিশেষ করে এই ধরনের মিশ্রণ শিশুদের দাঁত ভালো রাখতে অধিক কার্যকরী।
দুধ :
দুধে ক্যালসিয়াম, প্রোটিণ এবং ভিটামিন ডি থাকে। শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে শরীরের অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে দাঁত ব্যথা, জিহ্বা জ্বালাপোড়া, ঠোঁট এবং মুখের ভিতরের অংশেও ব্যথা হতে পারে।
প্রোটিণ :
শরীরের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের সুস্থতার জন্যও প্রোটিণ দরকার। এ কারণে খাদ্য তালিকায় চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং ডিম যোগ করুন। এসব খাবারে থাকা ফসফরাস এমামেলকে রক্ষা করে দাঁত সুরক্ষিত করে।
মিষ্টি আলু :
মাটির নিচে থাকা সবজি বিশেষ করে মিষ্টি আলু দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ দাঁতের এনামেল রক্ষা করে দাঁত সুস্থ রাখে।
পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার :
পনির দাতেঁর জন্য বেশ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিণ রয়েছে। এছাড়া দইয়ে থাকা প্রবিওটিক ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে দাঁত শক্তিশালী করে।
পালং শাক, পাতাকপি এবং অন্যান্য সবুজ শাক দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আপেল, গাজর, সেলেরি এগুলো মুখের লালা উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। এর ফলে দাতেঁর মাড়িও সুস্থ থাকে।
কমলা,স্ট্রবেরী ও অন্যান্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাতেঁর ক্ষয় রোধ করে এবং দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত বন্ধ করে দেয়।
এছাড়া চিনি ছাড়া গাম চিবুলেও মুখের মধ্যে উপকারী লালা তৈরি হয় এবং দাঁত পরিষ্কার রাখে।