গাজীপুরের শ্রীপুরে বেসরকারি এক মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকে ইয়াবাসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবা বিক্রির সময় ওই পরিচালককে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তার দেহতল্লাশি করে ১৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটক তোহফা রায়হান চিত্রণ (২৭) পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের (শ্রীপুর চৌরাস্তা আনসার রোডে) মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। চিত্রণ ওই এলাকায় অবস্থিত ‘কেয়ার মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তোহফা রায়হান চিত্রণসহ তার কয়েকজন সহযোগী শ্রীপুর চৌরাস্তা আনসার রোডে দু-তলা একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে নামসর্বস্ব মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক মুদি ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, চিকিৎসার আড়ালে সেখানে মাদক ব্যবসা হতো।
এ চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রতিদিন অনেককেই যাওয়া-আসা করতে দেখে তারা, যাদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তরা সেখানে চিকিৎসা নিতে যায় নাকি মাদকসেবন করতে যায়, তা তারা জানে না।
২০০৫ সালে প্রণীত বিধিমালায় মাদকাসক্ত নিরাময় ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়ার কথা। কিন্তু এ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটির তা নেই। সরেজমিন ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। ভেতরে রোগী কিংবা চিকিৎসক রয়েছেন কিনা তাও জানা যায়নি।
তবে এ মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, চিত্রণ প্রতিষ্ঠাতা হলেও প্রায় দেড় বছর হয় সে এখানে নেই। এখানে বৈধভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
শ্রীপুর থানার এএসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, চিত্রণ নিজেই একজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। যদিও পরিবারের দেয়া তথ্যমতে, আগে চিত্রণ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিত্রণ শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে চিত্রণকে আটক করে।
ওই সময় তার দেহতল্লাশি করে ১৫টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা নং ৬ দায়ের করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।